প্রখ্যাত হাদীছ গ্রন্থ ‘দারমী’র الاقتداء بالعلماء (আল ইকতিদাউ বিল উলামা) অধ্যায়ে আছেঃ
اَخْبَرْنَا يَعْلى قَالَ اَخْبَرْ نَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاء اَطِيْعُوا اللهَ وَاطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاُلِى الْاَمْرِ مِنْكُمْ قَالُوْا اُوْلُوالْعِلْمِ وَالْفِقْهِ
অর্থাৎ- আমাদেরকে ইয়া’লা বলেছেন। তিনি বলেন, আমাকে আবদুল মালিক বলেছেন, আবদুল মালিক‘আতা’ থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর আনুগত্য কর, রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তোমাদের মধ্যে যারা আদেশ দাতা আছেন, তাদের আনুগত্য কর।’ ‘আতা’ বলেছেন এখানে জ্ঞানী ও ফিকহাবিদগণকে আদেশ প্রদানের অধিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তাফসীরে খাযিনে فَاسْئَلُوْا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ
(যদি তোমরা না জান, জ্ঞানীদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসা করিও)
আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছেঃ
فَاسْئَلُوْا الْمُؤْمِنِيْنَ الْعلَمِيْنَ مِنْ اَهْلِ الْقُرْانِ
অর্থাৎ তোমরা ঐ সকল মুমিনদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসা কর, যারা কুরআনের জ্ঞানে পারদর্শী।
তাফসীরে দুররে মানসুরে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছে- অর্থাৎ ইবনে মারদাওয়াই হযরত আনাস (রহমতুল্লাহে আলাইহে) থেকে বর্ণনা করেছেন, আনাস (রহমতুল্লাহে আলাইহে)বলেছেন আমি হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, কতেক লোক নামায পড়ে, রোযা রাখে, হজ্বও জিহাদ করে; অথচ তারা মুনাফিক গণ্য হয়।
আরয করা হলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহে (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কি কারণে তাদের মধ্যে নিফাক (মুনাফিকী) এসে গেল? প্রত্যুত্তরে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমালেন, নিজ ইমামের বিরূপ সমালোচনা করার কারণে। ইমাম কে? এ কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ইরশাদ ফরমান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন-
فَاسْئَلُوْا اَهْلَ الذِّكْرِ (الايته)
অর্থাৎ আয়াতে উল্লেখিত আহলে যিকরকে ইমাম বলা হয়।
তাফসীরে সাবীতে সুরা কাহাফের وَاذْكُرْ رَبَّكَ اِذَا نَسِيْتَ
আয়াতের ব্যাখ্যায় লিপিবদ্ধ আছেঃ অর্থাৎ চার মাযহাব ছাড়া অন্য কোন মাযহাবের তাকলীদ বা অনুসরণ জায়েয নয় যদিও সে মাযহাব সাহাবীদের উক্তি, সহীহ হাদীছ ও কুরআনের আয়াতের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হয়। যে এ চার মাযহাবের কোন একটির অনুসারী নয়, সে পথভ্রষ্ট এবং পথভ্রষ্টকারী। কেননা হাদীছ ও কুরআন কেবল বাহ্যিক অর্থ গ্রহণই হলো কুফরীর মূল।
সংশ্লিষ্ট হাদীছ সমূহঃ
মুসলিম শরীফের ১ম খন্ডে ৫৪ পৃষ্ঠায় اِنَّ الدِّيْنَ نَّصِيْحَةُ এর বর্ণনা অধ্যায়ে আছে-
عَنْ تَمِيْمُ الدَّارِىْ اَنَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ قَالَ الدِّيْنُ النَّصِيْحَةُ قُلْنَا لِمنْ قَالَ لِلّهِ وَلِكِتَابِه وَلِرَسُوْلِه وَلِاَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْنِ وَعَامَّتِهِمْ
অর্থাৎ ‘তামীম দারী’ থেকে বর্ণিত, হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমান, ধর্ম হলো কল্যাণ কামনা। আমরা (উপস্থিত সাহাবীগণ) আরয করলাম, কার কল্যাণ কামনা? তিনি ফরমালেন, আল্লাহর, তার কিতাবের, তার রসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর, মুসলমানদের, মুজতাহিদ ইমামগণের এবং সাধারণ মুসলমানদের। মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘নববীতে’ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে।
(অর্থাৎ এ হাদীছ ‘উলামায়ে দ্বীন’কেও ইমামদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উলামায়ে দ্বীন এর কল্যান কামনার অর্থ হচ্ছে তাদের বর্ণিত হাদীছসমূহ গ্রহণ করা, শরীয়ত বিধিতে তাঁদের অনুসরন করা এবং তাদের সম্পর্কে ভাল ধারণা পোষণ করা। -সুত্রঃ জা’আল হক ১ম খন্ড-
اَخْبَرْنَا يَعْلى قَالَ اَخْبَرْ نَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاء اَطِيْعُوا اللهَ وَاطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاُلِى الْاَمْرِ مِنْكُمْ قَالُوْا اُوْلُوالْعِلْمِ وَالْفِقْهِ
অর্থাৎ- আমাদেরকে ইয়া’লা বলেছেন। তিনি বলেন, আমাকে আবদুল মালিক বলেছেন, আবদুল মালিক‘আতা’ থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর আনুগত্য কর, রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তোমাদের মধ্যে যারা আদেশ দাতা আছেন, তাদের আনুগত্য কর।’ ‘আতা’ বলেছেন এখানে জ্ঞানী ও ফিকহাবিদগণকে আদেশ প্রদানের অধিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
তাফসীরে খাযিনে فَاسْئَلُوْا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ
(যদি তোমরা না জান, জ্ঞানীদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসা করিও)
আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছেঃ
فَاسْئَلُوْا الْمُؤْمِنِيْنَ الْعلَمِيْنَ مِنْ اَهْلِ الْقُرْانِ
অর্থাৎ তোমরা ঐ সকল মুমিনদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসা কর, যারা কুরআনের জ্ঞানে পারদর্শী।
তাফসীরে দুররে মানসুরে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছে- অর্থাৎ ইবনে মারদাওয়াই হযরত আনাস (রহমতুল্লাহে আলাইহে) থেকে বর্ণনা করেছেন, আনাস (রহমতুল্লাহে আলাইহে)বলেছেন আমি হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, কতেক লোক নামায পড়ে, রোযা রাখে, হজ্বও জিহাদ করে; অথচ তারা মুনাফিক গণ্য হয়।
আরয করা হলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহে (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কি কারণে তাদের মধ্যে নিফাক (মুনাফিকী) এসে গেল? প্রত্যুত্তরে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমালেন, নিজ ইমামের বিরূপ সমালোচনা করার কারণে। ইমাম কে? এ কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ইরশাদ ফরমান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন-
فَاسْئَلُوْا اَهْلَ الذِّكْرِ (الايته)
অর্থাৎ আয়াতে উল্লেখিত আহলে যিকরকে ইমাম বলা হয়।
তাফসীরে সাবীতে সুরা কাহাফের وَاذْكُرْ رَبَّكَ اِذَا نَسِيْتَ
আয়াতের ব্যাখ্যায় লিপিবদ্ধ আছেঃ অর্থাৎ চার মাযহাব ছাড়া অন্য কোন মাযহাবের তাকলীদ বা অনুসরণ জায়েয নয় যদিও সে মাযহাব সাহাবীদের উক্তি, সহীহ হাদীছ ও কুরআনের আয়াতের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হয়। যে এ চার মাযহাবের কোন একটির অনুসারী নয়, সে পথভ্রষ্ট এবং পথভ্রষ্টকারী। কেননা হাদীছ ও কুরআন কেবল বাহ্যিক অর্থ গ্রহণই হলো কুফরীর মূল।
সংশ্লিষ্ট হাদীছ সমূহঃ
মুসলিম শরীফের ১ম খন্ডে ৫৪ পৃষ্ঠায় اِنَّ الدِّيْنَ نَّصِيْحَةُ এর বর্ণনা অধ্যায়ে আছে-
عَنْ تَمِيْمُ الدَّارِىْ اَنَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ قَالَ الدِّيْنُ النَّصِيْحَةُ قُلْنَا لِمنْ قَالَ لِلّهِ وَلِكِتَابِه وَلِرَسُوْلِه وَلِاَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْنِ وَعَامَّتِهِمْ
অর্থাৎ ‘তামীম দারী’ থেকে বর্ণিত, হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ ফরমান, ধর্ম হলো কল্যাণ কামনা। আমরা (উপস্থিত সাহাবীগণ) আরয করলাম, কার কল্যাণ কামনা? তিনি ফরমালেন, আল্লাহর, তার কিতাবের, তার রসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর, মুসলমানদের, মুজতাহিদ ইমামগণের এবং সাধারণ মুসলমানদের। মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘নববীতে’ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে।
(অর্থাৎ এ হাদীছ ‘উলামায়ে দ্বীন’কেও ইমামদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উলামায়ে দ্বীন এর কল্যান কামনার অর্থ হচ্ছে তাদের বর্ণিত হাদীছসমূহ গ্রহণ করা, শরীয়ত বিধিতে তাঁদের অনুসরন করা এবং তাদের সম্পর্কে ভাল ধারণা পোষণ করা। -সুত্রঃ জা’আল হক ১ম খন্ড-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thaks for watching www.sunnihaque.blogspot.com